বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর রাত তখন আটটা। ঢাকার একটি বিখ্যাত হাসপাতাল থেকে বলা হলো আমার স্ত্রী বকুল মোস্তফার ডায়ালাইসিস করা যাবেনা। ব্যাঙ্কক থেকে অপারেসন করে সৃষ্টি করা ফিস্টুলায় রক্ত জমাট বেধেছে এবং তারা সেটি পরিষ্কার করতে পারেনি। আগের দিন কোন মতে একটু ডায়ালাইসিস করা গিয়েছিলো। সেদিন ডায়ালাইসিস করতে না পারায় জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়বে। এমনিতেই মাঝে মধ্যে ডায়ালাইসিস ঠিকমতো না হলে ওর শ্বাসকষ্ট হয় এবং অক্সিজেন দিয়ে বাচিয়ে রাখতে হয়। এর আগের বার ব্যাঙ্কক যাবার সময় প্লেনে অক্সিজেন দিতে হয়েছে। সেদিন রাতেও অক্সিজেন দিয়ে বাচিয়ে রাখতে হয়েছে। এটি সত্যি সত্যি দুঃখজনক যে দেশের কোন হাসপাতালে গ্রাফটিং ফিস্টুলার অপারেসন হয়না। অথচ যাদের রক্তনালী চিকন তাদের জন্য এর কোন বিকল্প নেই। বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হলো শুক্রবার দুপুরের মাঝে বকুলকে ব্যাঙ্কক পাঠাতে হবে। রাত দশটায় স্বপন থাই এয়ারওয়েজ এর টিকেট করলো ইন্টারনেটে।
মন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবে বকুলের লাল পাসপোর্ট। এর সুবিধা হলো ওর ভিসা নিতে হবেনা। কিন্তু বড় বিপদ হলো, সরকারের জিও ছাড়া সে যেতে পারবেনা। রাত নটায় উদ্যোগ নেয়া হলো জিও করার। আমি আমার পিএস খোরশেদ আলমকে কাজে লাগিয়ে দিলাম। সে ই নথির সূচনা করলো। রাত দশটার মাঝে আমার অনুমোদন সহ জিও তৈরি হয়ে গেলো। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে সরকারি অফিসে ই নথি চালু না হলে রোববার অফিস খুললে সারা দিনে জিও করে বকুলের ব্যাঙ্কক যেতে হতো। আজ যখন জানলাম যে বকুলের অপারেসন সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে, ফিস্টুলা ঠিক হয়েছে, ডায়ালাইসিস হয়েছে এবং সে সুস্থতার দিকে যাচ্ছে তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ই নথিকে সবার আগে ধন্যবাদ দিতে মন চাইলো।
লেখক
মোস্তাফা জাব্বার
মাননীয় মন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস